হাডকো স্ক্যাম সিরিজ এ এ্যালবোর্জ এ্যাজার গত ২৫ বছর ধরে ঘটে আসা জমি কেলেঙ্কারীসমূহ উন্মোচিত করেছে যা ভারতের ইতিহাসে নেতিবাচকভাবে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। আলোচিত এই জমি দখলের ঘটনাবলী নগরকেন্দ্রিক জমি এবং বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কৃষি স্থানান্তরের বিষয়টি জড়িয়ে ফেলেছে ফলে ভারতে সবাই মূল্যবান ভূমিগুলোতে জবরদখল বজায় রাখতে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়। বইটিতে উল্লেখিত এ্যান্ড্রুজ গঞ্জ জমি কেলেঙ্কারীর সেই জমিটি হলো দিল্লীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সবচেয়ে মূল্যবান জমি। ওয়েবস্টার অভিধানের মতে "স্ক্যাম" শব্দের প্রকৃত অর্থ হলো প্রতারণার মাধ্যমে কাউকে ঠকানো। এক্ষেত্রে অসংখ্য প্রতারিত ব্যক্তির মধ্যে একজন হলো পবন সাচদেব। নানান ভুল ব্যাখ্যা এবং গোপনীয়তার কারণে প্রতারণার প্রাথমিক পর্যায়েই এমএস শ্যুজ ইস্ট লিমিটেডকে অবিশ্বাস্যভাবে আইনি মামলার দিকে ঠেলে দেয়া হয় যে কারণে পবন সাচদেবকে তার সম্পত্তি এবং প্রতারণার মাধ্যমে হাডকো কর্তৃক হাতিয়ে নেয়া অর্থ ফিরে পেতে ২৫ বছর আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে হয়। এসব মামলায় যেসব ভুক্তভোগী অর্থ ফেরত পায়নি বর্তমানে তাদেরকে অর্থ ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। সরকার এবং হাডকোর দ্বন্দ্বের কারণে সর্বোচ্চ আদালত মামলাগুলোর সন্তোষজনক সুরাহার সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। হাডকোর সাথে চুক্তির গোপনীয়তা বাধাগ্রস্থ ছিলো কারণ এমএস শ্যুজ ইস্ট লিমিটেডে কাছে হাডকো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করেছিলো, ফলে সকল অর্থ খুব সহজেই হাডকো গোপনে আত্মসাৎ করতে সক্ষম হয়। দ্ধ থাকবে।